বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে আটকে রাখার পরীক্ষা জামাল ভূঁইয়াদের

আট বছর পর আবারও অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ দল। আগামী ১৬ নভেম্বর মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে জামাল ভূইয়ারা।
অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ছাড়া আর খেলার সুযোগ মিলে না বাংলাদেশের। আট বছর আগে দু’বার মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। আর দু’টি ম্যাচই ছিল বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই দু’টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা মোটেই ভালো ছিল না বাংলাদেশের।
২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছিল ৫-০ গোলের ব্যবধানে। তবে ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পরাজয়ের ব্যবধান ছিল কম। ৪-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।
মুখোমুখি লড়াইয়ে পরিসংখ্যান ছাড়াও ফিফা র্যাঙ্কিং দেখলে বোঝা যাবে অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের ফুটবলের পার্থক্য আসলে কতটুকু। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২৭তম স্থানে অস্ট্রেলিয়া। আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৩তম। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া আছে এখন দুর্দান্ত ফর্মে।
কাতারে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। এ বছর আবার আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। চীনের বেইজিংয়ে ফিফা প্রীতি ফুটবল ম্যাচে আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছিল ২-০ গোলে।
অস্ট্রেলিয়ার গায়ে যখন বড় দলের তকমা তখন তাদের বিপক্ষে কতোটা প্রতিরোধ গড়তে পারে বাংলাদেশ সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। ম্যাচের শুরু থেকেই অ্যাটাকিং ফুটবল খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তাই বাংলাদেশের ডিফেন্সকে বড় পরীক্ষাই দিতে হবে। তবে সাম্প্রতিক ভালে ফুটবল খেলছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেটা দক্ষিণ এশিয়ার পর্যায়ে।
মূলত ভারতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকেই আবার আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশের ফুটবল। যদিও কুয়েতের কাছে হেরে ফাইনালে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়নি বাংলাদেশের। ভালো ফুটবল খেলার ধারবাহিকতা বাংলাদেশ ধরে রাখে বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডেও।
মালদ্বীপকে দুই লেগ মিলে ৩-২ গোলে হারিয়ে বাছাইয়ের মূল পর্বে খেলার টিকিট পায়। মালদ্বীপে গিয়ে প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র করলেও বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ২-১ গোলে জয় পায় বাংলাদেশ দল।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ খেলবে আই গ্রুপে। সেখানে অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও আছে ফিলিস্তিন ও লেবানন। ১৬ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর ২১ নভেম্বর ঘরের মাঠে লেবাননের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
আগামী শুক্রবার মেলবোর্নের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। আগামীকাল কোচ, অধিনায়ক ও ম্যানেজারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দলকে অনুশীলনের জন্য দেশে সময় পান নি হেড কোচ হ্যাভিয়ের কেবরেরা। তাই অস্ট্রেলিয়ায় আগে গিয়ে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। এখন দেখাই যাক বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কঠিন ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কতোটা প্রতিরোধ গড়তে পারে বাংলাদেশ দল।