শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ১২:২২ অপরাহ্ন

রিশাদ ঝড়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

টি আর স্পোর্ট বিডি
প্রকাশ সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪

পেন্ডুলামের মতো ম্যাচের ভাগ্য দোলেনি ঠিকই। তবে ম্যাচে যে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত ছিল তাও নয়। বরং হাত থেকে প্রায় বের হয়ে যাওয়া ম্যাচে রিশাদ হোসেনের ঝড়ে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে। আগে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কার করা ২৩৫ রান টপকাতে বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছে ৪০.২ ওভার। এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল।

একের পর এক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ শিবিরে কিছুটা যে উদ্বেগ ছড়ায়নি তা নয়। ইনজুরির কারণে ওপেনিং নিয়ে একটা দুঃশ্চিন্তা বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তানজিদ হাসান সব উদ্বেগ উড়িয়ে দেন। অসাধারণ এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে একটু যে হতাশা তৈরি হয়নি তা নয়। সেঞ্চুরি পাননি তিনি। ৮১ বলে ৮৪ রান করেছেন। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ বাজে সূচনা থেকে কিছুটা হলে রেহাই পায়। কেননা একপ্রান্তে ব্যাটারদের আসা যাওয়া ছিল।

তানজিদ হাসান যে কতটা বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন তা অন্যদের রানের দিকে তাকালে বোঝা যাবে। বাংলাদেশের প্রথম উইকেটে রান এসেছে ৫০। এর মধ্যে এনামুল হকের রান ছিল মাত্র ১২। তৃতীয় উইকেটে রান হয়েছে ৪৯ রান। এখানে তৌহিদ হৃদয়ের রান ২২।

একপর্যায়ে ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারায়। পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তানজিদ। তার রান ৮১ বলে ৮৪। ৯টি বাউন্ডারির পাশাপাশি চারটি ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। তার আউটের পর বাংলাদেশের জয় নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। কিন্তু রিশাদ হোসেনের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ পায় সহজ জয়। মাত্র ১৮ বলে তিনি ৪৮ রান করেছেন। পাঁচ বাউন্ডারির পাশাপাশি চারটি ওভার বাউন্ডারি তার ইনিংসে।

রিশাদের আগে মেহেদি হাসান মিরাজ ২৫ রানের একটা মূল্যবান ইনিংস উপহার দেন। আর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহমি ৩৬ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

লাহিরু কুমারা ৪ উইকেট শিকার করেছেন। টানা ৪ উইকেট নিয়ে তিনি বাংলাদেশের ইনিংসে আতঙ্ক ছড়িয়েছিলেন।

এর আগে টস জয়ের পর ব্যাট হাতে নামা শ্রীলঙ্কার শুরুটা ছিল যাচ্ছেতাই। তাসকিনের জোড়া আঘাতে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় সফরকারী দল। মাত্র ১৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। পরের ব্যাটাররা খুব একটা স্বস্তিতে ব্যাট করতে পেরেছে তা নয়। বরং নির্ধারিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে।

বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দৃঢ়তা যা দেখানোর তা দেখিয়েছেন শুধুমাত্র জানিথ লিয়াঙ্গে। তবে যোগ্য সহচর্য তিনি পাননি। ফলে তার সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ভালো কোনো জুটি গড়ে ওঠেনি। ১০২ বলে তিনি ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১১টি বাউন্ডারির পাশাপাশি দুটো ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন।

তাসকিন ছিলেন বাংলাদেশের সফল বোলার। তিন উইকেট শিকার তার। দলে ফেরা মুস্তাফিজুর রহমানও দারুণ বোলিং করেছেন। আহত হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে তিনি দুই উইকেট পেয়েছেন। মেহেদি হাসান মিরাজের শিকারও দুই উইকেট।


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর