চট্টগ্রাম টেস্টদ্বিতীয় দিন শেষে ৪৭৬ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ

সামনে ৫৩১ রানের বিশাল পাহাড়। শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হওয়ার পর দিনের তখন ১৯ ওভার বাকি। এ সময়ে বাংলাদেশ ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করেছে। অর্থাৎ এখনো চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৭৬ রান পিছিয়ে বাংলাদেশ।
বিশাল রানের চাপ থাকলেও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল দারুণ। দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। তাদের দারুণ ব্যাটিং শ্রীলঙ্কার বোলারদের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলেছিল। কিন্তু দিন শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে এই জুটি বিচ্ছিন্ন হয়। ২১ রান করে আউট হন জয়। লাহিরু কুমারার বলে বোল্ড হয় তিনি।
তার বিদায়ের পর নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমেছেন তাইজুল ইসলাম। জাকির ও তাইজুল জুটি বাকি সময়টা ভালোভাবে পার করেছেন। জাকির ২৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন। তাইজুল রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এর আগে আগের দিনের ৪ উইকেটে ৩১৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল সফরকারী দল। দিনেশ চান্দিমাল ৩৪ রানে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ১৫ রানে ব্যাট হাতে নেমেছিলেন। এই দুই ব্যাটার তো বটেই যারাই ক্রিজে এসেছেন তারাই রান উৎসব করেছেন, বাংলাদেশের বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছেন। বলকে তারা একের পর এক বাউন্ডারির সীমানা পার করেছেন। শেষ পর্যন্ত সাকিব আল হাসানের বলে চান্দিমাল যখন লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন তখন তার রান ৫৯। তবে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা এত আগে ক্রিজ ছাড়েননি। ৭০ রান করেছেন প্রথম টেস্টের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করা সফরকারী দলের এই অধিনায়ক।
কিছুটা নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতে পারেন কামিন্দু মেন্ডিস। অসাধারণ এক কীর্তির খুব কাছ থেকে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। ধনঞ্জয়ার মতোই প্রথম টেস্টের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। আজও সেই কীর্তির কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন। কিন্তু সতীর্থদের অভাবে সে কীর্তিকে ছোঁয়া হলো না তার। ৯২ রানে অপরাজিত থাকতে হলো। তিন অঙ্কের যাদুকরী রান স্পর্শের জন্য চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সতীর্থরা টিকছে না দেখে দ্রুত ব্যাট চালাতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলেন না। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে প্রভাত জয়াসুরিয়া ২৮ রান করে দলীয় সংগ্রহকে পাঁচশত রানে নিতে যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।
দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা সাকিব আল হাসান ছিলেন সফল বোলার। তিন উইকেট শিকার তার। এছাড়া হাসান মাহমুদ নিয়েছেন দুই উইকেট। শ্রীলঙ্কার তিন ব্যাটার রান আউট হয়েছেন।