চট্টগ্রাম টেস্ট৫৩১ রানে থামলো শ্রীলঙ্কা

সিলেট টেস্টে উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে নাস্তানাবুদ করেছিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। চট্টগ্রাম টেস্টে তাদের কেউ সেঞ্চুরি পাননি। এটুকুই হয়তো বাংলােদেশের বোলারদের সান্ত্বনা। শুধু ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস নয়, শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের কেউ তিন অঙ্কের রানের দেখা পাননি। তবে এই দুই ব্যাটারের পাশাপাশি অন্যরা যা করেছেন তাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের তো বটেই সমর্থকদের নাভিশ্বাস ওঠার ব্যবস্থা হয়েছে। সব উইকেট হারিয়ে তারা ৫৩১ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করিয়েছে।
আগের দিনের ৪ উইকেটে ৩১৪ রান নিয়ে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল সফরকারী দল। দিনেশ চান্দিমাল ৩৪ রানে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ১৫ রানে ব্যাট হাতে নেমেছিলেন। এই দুই ব্যাটার তো বটেই যারাই ক্রিজে এসেছেন তারাই রান উৎসব করেছেন, বাংলাদেশের বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছেন। বলকে তারা একের পর এক বাউন্ডারির সীমানা পার করেছেন। শেষ পর্যন্ত সাকিব আল হাসানের বলে চান্দিমাল যখন লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন তখন তার রান ৫৯। তবে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা এত আগে ক্রিজ ছাড়েননি। ৭০ রান করেছেন প্রথম টেস্টের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করা সফরকারী দলের এই অধিনায়ক।
কিছুটা নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতে পারেন কামিন্দু মেন্ডিস। অসাধারণ এক কীর্তির খুব কাছ থেকে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। ধনঞ্জয়ার মতোই প্রথম টেস্টের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। আজও সেই কীর্তির কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন। কিন্তু সতীর্থদের অভাবে সে কীর্তিকে ছোঁয়া হলো না তার। ৯২ রানে অপরাজিত থাকতে হলো। তিন অঙ্কের যাদুকরী রান স্পর্শের জন্য চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সতীর্থরা টিকছে না দেখে দ্রুত ব্যাট চালাতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলেন না। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে প্রভাত জয়াসুরিয়া ২৮ রান করে দলীয় সংগ্রহকে পাঁচশত রানে নিতে যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।
দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা সাকিব আল হাসান ছিলেন সফল বোলার। তিন উইকেট শিকার তার। এছাড়া হাসান মাহমুদ নিয়েছেন দুই উইকেট। শ্রীলঙ্কার তিন ব্যাটার রান আউট হয়েছেন।