চট্টগ্রাম টেস্টের এখনো অনেক পথ বাকি। তবে ফলাফলে সিলেট টেস্টের সঙ্গে যে কোনোরকম পার্থক্য থাকবে না তা অনেকটা নিশ্চিত। এরই মধ্যে রান পাহাড়ে চাপা পড়েছে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে করা ৫৩১ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭৮ রানে অল আউট হয়েছে। ফলে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে এগিয়ে রয়েছে। তবে বাংলাদেশকে তারা ফলো অন করায়নি।

আজ খেলার তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ তাদের সংগ্রহে মাত্র ১২৩ রান জমা করে। আগের দিন ১ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে খেলতে নেমে আজ ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৩ রান কেরেছে। সিলেট টেস্টের মতো এ ইনিংসে ব্যাটাররা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। ছয় ব্যাটার দুই অঙ্কের রানে পৌঁছাতে পারেনি। শ্রীলঙ্কার যেখানে ছয় ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। এর মধ্যে দুইজন প্রায় সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে আউট হয়েছেন। একজন আছেন আশির ঘরে, একজন সত্তরের ঘরে। সেখানে বাংলাদেশের ইনিংসে একটা মাত্র হাফ সেঞ্চুরি। তাও কোনো মতো পঞ্চাশের ঘরে পৌঁছানো।

আগের দিনের শেষ ভাগ ও আজ তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাট হাতে একটু সৌরভ ছড়িয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আর তাতে করে একটু হলেও আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সকালে এক ঝড়ে সব লণ্ডভন্ড হয়ে যায়। সে ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এমনকি অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব আল হাসানও সেই ঝড় থামাতে পারেননি। দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে সাকিব বল হাতে সাফল্য পেলেও ব্যাট হাতে হতাশ করেছেন। মাত্র ১৫ রানে আউট হয়েছেন তিনি।

সাকিবের আগে পরে একইভাবে আউট হয়েছেন ব্যাটাররা। ব্যতিক্রম শুধু ওপেনার জাকির হাসান। ৫৪ রান করেছেন। এছাড়া সব ব্যাটারই এসেছেন আর ফিরেছেন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (১), লিটন দাস (৪), শাহাদাত হোসেন (৮)। তবে মমিনুল হক কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিলেন। ৩৩ রান করেছেন। ফলে ১৭৮ রানের বেশি স্কোরবোর্ডে জমা করা সম্ভব হয়নি।

শ্রীলঙ্কার বোলারদের কমবেশি সবাই আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। তবে সফল ছিলেন বিশ্ব ফার্নান্ডো, অশিথা ফার্নান্ডো, লাহিরু কুমারা ও প্রভাত জয়সুরিয়া। আশিথা ফার্নান্ডো চার উইকেট শিকার করেছেন। অন্য তিন বোলার দুটো করে উইকেট নিজেদের ঝুলিতে পুরেছেন।