মেসির জোড়া গোলে বড় জয় মায়ামির

নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মেসি খেলবেন কিনা তা নিয়ে একটা শঙ্কা ছিল। মেসি সুস্থ ছিলেন কিন্তু নিউ ইংল্যান্ডের জিলেট স্টেডিয়াম কৃত্রিম ঘাসের। সে কারণে মেসির খেলা নিয়ে একটা শঙ্কা ছিল। সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে মেসি মাঠে নেমেছেন, গোল করেছেন আর জয় করেছেন দর্শকের মন। জোড়া গোল করেছেন তিনি। দল জয় পেয়েছে ৪-১ গোলে। বেঞ্জামিন ক্রেমাসি ও লুইস সুয়ারেজ করেছেন অন্য দুই গোল।
শনিবার রাতে তবে বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচ নিয়ে দর্শকের আগ্রহের কমতি ছিল না। স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। রেকর্ড সংখ্যক দর্শক হাজির হয়েছিলেন মেসির খেলা দেখতে। স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকের সংখ্যা ৬৫৬১২। জিলেট স্টেডিয়ামে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর্শক উপস্থিতি। সবচেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড ৬৭৫৮৪। ২০০৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাজিল ও মেক্সিকোর মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে উপস্থিত হয়েছিলেন তারা।
ম্যাচের শুরুতেই ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনাই বলা যায়। মাঠে যারা আসেন তাদের বেশির ভাগই মেসির জয় দেখতে আসেন। কিন্তু ম্যাচ শুরু হতে না হতেই মেসির দল ইন্টার মায়ামিকে পিছিয়ে পড়তে হয়। ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে গোল পেয়ে যায় নিউ ইংল্যান্ড। রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষকের ভুলকে কাজে লাগিয়ে নিউ ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নেন টমাস চানকালে।
শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও মায়ামির সমর্থকরা আস্থা হারাননি। দলে যে মেসি আছেন। মেসিও তাদের আস্থার জবাব দিয়েছেন। প্রথমার্ধে দারুণ এক গোল করে সমতা ফিরিয়ে আনেন। আর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৮ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন।
জোড়া গোলের মাঝ দিয়ে মেসি এখন মেজর সকার লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সাত ম্যাচে ৯ গোল করেছেন তিনি। হ্যাটট্রিকেরও সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিউ ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মেসির শট রুখ দেন গোলরক্ষক হেনরিখ রাভাস। তবে দলকে গোল হজম থেকে রক্ষা করতে পারেননি তিনি। ফিরতি বল বেঞ্জামিন ক্রেমাসি জালে পাঠিয়ে দলকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে নেন।
এ জয়ের ফলে মায়ামি ১১ ম্যাচ থেকে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে শীর্ষে অবস্থান করছে।