উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগবায়ার্নের মুখের গ্রাস কেড়ে রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনালে

বায়ার্ন মিউনিখের মুখের গ্রাস কেড়ে নিল রিয়াল মাদ্রিদ। বার্নাবু্যতে জয় উদযাপনের স্বপ্নে বিভোর তখন বায়ার্ন। আর তখনই পাশার দান উল্টে দিল রিয়াল মাদ্রিদ। ৮৮ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকা দলটি জোড়া গোল করে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করেছে। প্রথম লেগে ২-২ গোলের ড্র পর বুধবার রাতে নিজেদের মাঠের খেলায় ২-১ গোলের জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ৪-৩ গোল গড়ে এগিয়ে থেকে ফাইনালে পৌঁছেছে। শিরোপা লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ এখন আগামী ৩১ মে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে খেলবে। এ দলটি আগের দিন প্যারিস সেন্ত জার্মেইকে হারিয়ে ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে।
দূর্ভাগ্য বায়ার্ন মিউনিখের। ৬৮ মিনিটে আলফনসো ডেভিসের করা গোলের সুবাদে তারা ফাইনালের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু শেষ দুটো মিনিটে তারা নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পারলো না। এ সময়ে জোসেলু জোড়া গোল করে বায়ার্নের স্বপ্ন ভঙ্গ করেন। দলকে পৌঁছে দেন ফাইনালে। এ নিয়ে গত ১০ আসরের মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছালো। রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের সামনে এখন পনেরতম শিরোপা জয়ের হাতছানি।
এ ম্যাচে জয়ের মাঝ দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ আবার প্রমাণ করেছে তারা ইউরোপের ফুটবলে ক্যামব্যাক কিং। দুই বছর আগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে সেমিফাইনালে প্রথম লেগে হারের পর ফিরতি লেগে জয় নিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল। আর ফাইনালে লিভারপুলকে হতাশায় ডুবিয়ে জয় করেছিল শিরোপা। এবারো তাদের সামনে তেমনই সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। কেননা ফাইনালে উঠলেও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড এ মৌসুমে এখনো নিজেদের শক্তিমত্তার পরিচয় দিতে পারেনি।
৮৮ মিনিটে গোল করার পর জোসেলু ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন। এ গোলটি নিয়ে অবশ্য বিতর্ক রয়েছে। গোলটি প্রথমে অফসাইডের কারণে বাতিল করা হয়েছিল। তবে ভিএআর দেখে রেফারি অফসাইডের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। অসাধারণ এক খেলা উপহার দিয়েছেন জোড়া গোল করা জোসেলু। ম্যাচে তখন রিয়াল মাদ্রিদের হারটা নিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সে সময় মাঠে আসেন জোসেলু। ম্যাচের বয়স তখন ৮১ মিনিট।
জোসেলু মাঠে আসার কিছু সময় পর ভুল করে বসেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। আর সে সুযোগেই জোসেলু প্রথম গোল করেন। আর অ্যান্তোনিও রুডিগেরের পাস থেকে বল দ্বিতীয় গোল করেন তিনি।