আইপিএলবাটলারের সেঞ্চুরিতে কোহলির হাসি ম্লান

ইনিংস শেষে বিরাট কোহলির মুখে চওড়া হাসি। থাকবেই বা না কেন? ১১৩ রানে অপরাজিত এই ওপেনার। সেই সঙ্গে দলের রানটা সমীহ জাগানো। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ১৮৩। ম্যাচ শেষে কোহলির সেই হাসি আর থাকেনি, কেড়ে নেন জস বাটলার। তিনিও যে অপরাজিত। এই ওপেনারেরও সংগ্রটা কম নয়। ১০০ রান। তার চমৎকার সেঞ্চুরির সুবাদে রাজস্থান রয়্যালস ৫ বল বাকি থাকতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সংগ্রহকে টপকে দলকে ৭ উইকেটে জয় এনে দেয়।
শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত আইপিলের এ ম্যাচে দুই দলের চিত্রে দারুণ মিল। দুই দলের দুই ওপেনার অপরাজিত সেঞ্চুরি করেছেন। দুই সেঞ্চুরিয়ানকে দুই অধিনায়ক যোগ্য সহচর্য দিয়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস ৪৪ রান করেছেন। রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন করেন ৬৯। দুই দলের আরো কোনো ব্যাটার ভালো করতে পারেননি। পার্থক্য শুধু দুই সেঞ্চুরিয়ানের ব্যাটিং তাণ্ডবে।
বিরাট কোহলি ১১৩ রান করতে খেলেছেন ৭২ বল। স্ট্রাইক রেট ১৫৬.৯৪। আর জস বাটলার তার ১০০ রান করতে খেলেছেন মাত্র ৫৮ বল। স্ট্রাইক রেট ১৭২.৪১। আর এটা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়।
প্রথমে ব্যাট হাতে বেঙ্গালুর দুই ওপেনারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১২৫ রানের জুটি গড়েছিল। টর্নেডো এক ইনিংস খেলেছেন কোহলি। প্রথম উইকেটের পতন হয়ে প্লেসিস যখন ক্রিজ ছাড়েন তখন তার রান ৪৪। তখন কোহলির সংগ্রহ ৭২ রান।
জবাবে রাজস্থান তো ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার যজস্বী জয়শালকে হারায়। ইনিংসে হতাশা বলতে এতুটুকু। তারপর জস বাটলার ও সাঞ্জু স্যামসনের তাণ্ডব। আর তাতেই বেঙ্গালুরুর হার নিশ্চিত হয়। বাটলার ৫৮ বলে করেন ১০০ রান। আর সাঞ্জু ৪২ বলে ৬৯ রান। ১৪৮ রান এসেছে এই জুটিতে।