উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগআর্সেনালকে হারিয়ে সেমিতে বায়ার্ন

ঘরোয়া ফুটবলে কোনো শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নেই বায়ার্ন মিউনিখের। সেই দলটাই কিনা ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা ঠিকই জিইয়ে রেখেছে। বুধবার রাতে তারা ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালকে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। নিজেদের মাঠের খেলায় ১-০ গোলে জয় পেয়েছে তারা। প্রথম লেগের খেলায় ২-২ গোলে ড্র থাকায় ৩-২ গোল গড়ে বায়ার্ন মিউনিখ সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। এ নিয়ে ১৩তম বার ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার শেষ চারে উঠলো জার্মান ক্লাবটি।
সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলবে। অপর সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও প্যারিস সেন্ত জার্মেই।
প্রথম লেগের খেলায় অ্যাওয়ে ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখ ২-২ গোলে ড্র করে এসেছিল। ফিরতি লেগ নিজেদের মাঠে হওয়ায় সম্ভাবনায় এগিয়ে ছিল তারা। বিশেষ করে নিজেদের মাঠে আর্সেনালকে বড় ব্যবধানে হারানোর অভিজ্ঞতা থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ছিল বায়ার্ন। ২০১৫ ও ২০১৭ সালে বায়ার্নের মাঠে এসে ১-৫ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল আর্সেনাল। এবার অবশ্য অত বড় ব্যবধানের দরকারই ছিল না। নূন্যতম ব্যবধানই যথেষ্ঠ ছিল। সেই ব্যবধানেই জিতেছে বায়ার্ন।
তবে নূন্যতম ব্যবধানে জিততে যথেষ্ঠ ঘাম ঝরাতে হয়েছে বায়ার্নকে। কেননা সেই বায়ার্ন আর বর্তমান বায়ার্নের মাঝে বড় পার্থক্য গড়ে উঠেছে। ফলে একমাত্র গোলটি পেতে তাদেরকে ৬৩ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। জোসুয়া কিমিচ করেন গোলটি।
এই হারের ফলে আর্সেনালের সবকিছু শেষ হয়ে গেল। ২০০৯ সালের পর এই প্রথম তারা সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। এবার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের। কিন্তু সর্বশেষ ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার কাছে হারের ফলে তাদের সেই সম্ভাবনায় বড় ধরণের চিড় ধরেছে। প্রিমিয়ার লিগ জয়ের সম্ভাবনা এখন আর তাদের নিজেদের হাতে নেয়। অন্য দলের ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করতে হবে।
স্বাভাবিকভাবে এমন এক হারের ফলে হতাশা আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা। তিনি বলেন, খুবই হতাশাজনক বিষয়। প্রথম লেগে আমরা দুটো বাজে গোল হজম করেছিলাম। এ ম্যাচটা এমন এক ম্যাচ ছিল যেখানে একটা ভুল বা ব্যক্তিগত কোনো দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারতো। গোলটা তাদের অনেক এগিয়ে দিয়েছিল। আমরা তাদের রক্ষণভাগে ফাটল ধরাতে পারেনি, সে কারণে আমরা বাদ।’