এক ম্যাচ নিষিদ্ধ মার্টিনেজ

উয়েফা কনফারেন্স লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে কর্মকান্ডের শাস্তি পেতে হচ্ছে অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে। অলিম্পিয়াকসের বিপক্ষে সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে খেলতে পারবেন না তিনি।
গত বৃহষ্পতিবার লিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ফিরতি লেগের ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে সময় নষ্ট করার দায়ে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক মার্টিনেজ। টাইব্রেকারের সময় অদ্ভূত অঙ্গভঙ্গি বা বিদ্বেষমূলক আচরণের দায়ে আবার হলুদ কার্ড দেখেছিলেন তিনি। এক ম্যাচে দুটো হলুদ কার্ড দেখলেও নিয়ম মোতাবেকই তিনি টাইব্রেকারের পরবর্তী সময়টুকু দায়িত্ব পালন করেন।
এক নিয়মের কারণে কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচে দুই হলুদ কার্ড পেয়েও বাকি সময় খেলার সুযোগ পেলেও আর এক নিয়মের কারণে সেমিফাইনালেরর প্রথম লেগে খেলতে পারবেন না মার্টিনেজ। তিন হলুদ কার্ডের খাড়ায় পড়েছেন তিনি। লিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচেও তিনি হলুদ কার্ড পেয়েছিলেন। ফলে পরবর্তী ম্যাচে তিনি খেলতে পারছেন না।
লিলের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচে টাইব্রেকারে মার্টিনেজে দুটো পেনাল্টি রুখে দেন। তার এই কৃতিত্বের ফলে অ্যাস্টন ভিলার কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় ফ্রেঞ্চ ক্লাব লিলে। মার্টিনেজের এই কীর্তি লিলে সমর্থকদের মেনে নেওয়া কঠিন। কেননা এই মার্টিনেজের কৃতিত্বেই বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। এবার সেই মার্টিনেজ বিদায় করে দিলেন এক ফ্রেঞ্চ ক্লাবকে। ব্যাপারটা ফ্রান্স সমর্থকদের মেনে নেওয়া একটু কঠিনই বটে।
মার্টিনেজের এমন আচরণে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তারই ক্লাব সতীর্থ ফ্রেঞ্চ তারকা লুকাস ডিগনে। তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিকে কিভাবে মোকাবেলা করতে হয় তা মার্টিনেজ ভালেভাবেই জানে। আমিও বিষয়টা বুঝতে পারি, বিশ্বকাপে আমিও ছিলাম। তবে মার্টিনেজ মানুষ হিসেবে দারুণ একজন। যখন আপনি তার সঙ্গে মেলামেশা করবেন তখন তাকে বুঝতে পারবেন।