রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন

উন্মোচন করা হলো ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ‘ট্রাইওন্ডা’

টি আর স্পোর্ট বিডি
প্রকাশ শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫
নিউইয়র্কের ব্রুকলিন ব্রিজ পার্কে ২০২৬ বিশ্বকাপের ম্যাচ বল "ট্রাইওন্ডা"র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান, কাফু, আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো, জিনেদিন জিদান এবং জাভি হার্নান্দেজ (ছবি:গেটি ইমেজেস)

২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এক নতুন ইতিহাসের সূচনা। প্রথমবারের মতো তিন দেশ— যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো যৌথভাবে আয়োজন করবে ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ। এই আয়োজনের প্রতীক হিসেবেই ফিফা উন্মোচন করেছে অফিসিয়াল ম্যাচ বল ‘ট্রাইওন্ডা’।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের ব্রুকলিন ব্রিজ পার্কে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে এই বলের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মঞ্চে হাজির ছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী পাঁচ কিংবদন্তি— জার্মানির ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান, ব্রাজিলের কাফু, ইতালির দেল পিয়েরো, স্পেনের জাভি হার্নান্দেজ ও ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, “ট্রাইওন্ডা ফুটবলের এক নতুন অধ্যায় রচনা করবে, যেখানে ঐক্য ও প্রযুক্তি একসাথে কাজ করবে।”

‘ট্রাইওন্ডা’ নামটি এসেছে দুটি শব্দ থেকে— ‘ট্রাই’ (তিন) এবং ‘ওন্ডা’ (স্প্যানিশে ঢেউ)। এর মাধ্যমে আয়োজক তিন দেশকে একসাথে প্রতীকায়িত করা হয়েছে। বলের গায়ে তিন রঙের ঢেউ— লাল, সবুজ ও নীল— যথাক্রমে কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিনিধিত্ব করছে। পাশাপাশি প্রতিটি দেশের জাতীয় প্রতীকও জায়গা পেয়েছে বলের গায়ে: কানাডার ম্যাপল পাতা, মেক্সিকোর ঈগল, আর যুক্তরাষ্ট্রের তারকা। নকশায় ত্রিভুজাকার প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে, যা আয়োজক দেশগুলোর ঐক্যকে ফুটিয়ে তুলেছে।

অ্যাডিডাস তৈরি করেছে ট্রাইওন্ডা, যারা ১৯৭০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল সরবরাহ করে আসছে। বলটিতে সংযোজিত হয়েছে ৫০০ হার্জ সেন্সর প্রযুক্তি। এই চিপ VAR টিমকে রিয়েল-টাইম তথ্য সরবরাহ করবে, ফলে অফসাইড, হ্যান্ডবল কিংবা ফাউলের সিদ্ধান্ত দ্রুত ও নির্ভুলভাবে নেওয়া সম্ভব হবে।

নতুন ডিজাইনে গভীর খাঁজ ও খোদাই করা প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে, যা বলকে আকাশে ওড়ার সময় স্থিতিশীল রাখবে এবং ভেজা বা আর্দ্র মাঠে বাড়তি গ্রিপ দেবে।

যেহেতু ২০২৬ বিশ্বকাপ ১৬টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে জলবায়ু ও আবহাওয়া ভিন্ন রকম— তাই বলটি বিশেষভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে, যাতে গরম মরুভূমি, শীতল উত্তরাঞ্চল কিংবা আর্দ্র পরিবেশে একই পারফরম্যান্স বজায় থাকে।

আগামী বছরের ১১ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে বিশ্বকাপের ২৩তম আসর। উত্তর আমেরিকার তিন দেশের ১৬ শহরে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো। গ্রুপপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হবে ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ওয়াশিংটনে।

“ট্রাইওন্ডা” কেবল একটি ফুটবল নয়, বরং ঐক্য ও প্রযুক্তির প্রতীক। তিন আয়োজক দেশের সাংস্কৃতিক রঙ এতে যেমন প্রতিফলিত হয়েছে, তেমনি আধুনিক সেন্সর প্রযুক্তি ফুটবলকে নিয়ে যাবে নতুন যুগে। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ তাই শুধু প্রতিযোগিতার জন্য নয়, প্রযুক্তি ও ঐক্যের দিক থেকেও হয়ে উঠবে স্মরণীয়।


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর